إن الله ـ تعالى ـ يبسط يدهُ بالتوبة لمسيء الليل إلى النهار ولمسيء النهار إلى الليل حتى تطلع الشمس من مغربها ".
“একজন বান্দা রাতে যে সব অপরাধ করে, তা ক্ষমা করার জন্য আাল্লাহ তা’আলা সারা হাত পেতে রাখে, আর দিনের বেলা যে সব অপরাধ করে, তা ক্ষমা করার জন্য সারা রাত হাত পেতে দেয়। এটি ততদিন পর্যন্ত চলতে থাকবে, যেদিন সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদয় হবে”।[
أن المؤمن يرى ذنبه كالجبل فوقه يخاف أن يقع عليه، والمنافق يرى ذنبه كذباب مر على أنفه فاطاره
“একজন মুমিন গুনাহকে এভাবে দেখে থাকে যে, সে যেন এক পাহাড়ের নিচে বসে আছে যা তার মাথার উপর ভেঙ্গে পড়বে। পক্ষান্তরে পাপী তার গুনাহকে দেখে যেন মাছি তার নাকের ডগায় বসেছে, তাকে এভাবে তাড়িয়ে দেয়”।[20]
لا صغيرة مع الاصرار، ولا كبيرة مع الاستغفار
“ক্রমাগত পাপ করলে তা আর সগীরা থাকে না এবং ক্ষমা প্রার্থনা করলে, তা আর কবীরা থাকে না
عن أنس-رضي الله عنه -عن النبي-صلى الله عليه وسلم -فيما يرويه عن ربه- عز وجل- قال: [إذا تقرب العبد إليّ شبراً تقربت إليه ذراعاً، وإذا تقرب إلي ذراعاً تقربت منه باعاً، وإذا أتاني يمشي أتيته هرولة] رواه البخاري،
আনাস বিন মালেক রাদিয়াল্লাহ আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে বলেন, আল্লাহ তা’আলা বলেন, যখন কোন বান্দা আল্লাহর দিক এক বিঘাত অগ্রসর হয়, আল্লাহ বলেন, আমি তার দিকে এক হাত অগ্রসর হই। আর যখন কোন বান্দা এক হাত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে এক বাহু অগ্রসর হই। আর যখন কোন বান্দা আমার দিকে হেঁটে আসে, আমি তার দিকে দৌড়ে যাই।[27]
إنَّ المؤمن إذا أذنَبَ كانت نكتة سوداء في قَلبِه، فإنْ تاب ونزَع واستَغفَر صقل قلبه، وإنْ زاد زادتْ حتى يعلو قلبه ذاك الرين الذي ذكر الله - عزَّ وجلَّ - في القُرآن: ﴿كَلَّا بَلْ رَانَ عَلَى قُلُوبِهِمْ مَا كَانُوا يَكْسِبُونَ ﴾ [المطففين: ১৪].
অর্থ: যখন কোন মু’মিন গুনাহ করে তখন তার অন্তরে একটি কালো দাগ পড়ে তারপর সে যখন তাওবা করে এবং গুনাহ থেকে বিরত থেকে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চায় তখন তার অন্তর পরিস্কার হয়ে যায়। আর যখন মু’মিন আবারো গুনাহ করে তখন অন্তরের কালো দাগ বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে মু’মিনের অন্তরে আল্লাহর কুরআনে বর্ণিত ‘রাইন’ তথা মরিচা প্রভাব বিস্তার করে। আল্লাহ্ বলেন, ‘‘কক্ষনো না, বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের অন্তরে জং ধরিয়ে দিয়েছে।’’[16] (সূরা মুতাফফিফীন, আয়াত: ১৪)
أن المؤمن يرى ذنوبه كانه في أصل جبل يخاف أن يقع عليه وأن الفاجر يرى ذنوبه كذباب رفع على أنف فقال به هكذا فطار – ذكر البخاري في الصحيح
“একজন মুমিন সে গুনাহকে এমন ভাবে ভয় করে যে, সে যেন একটি পাহাড়ের নিচে আছে আর আশংকা করছে যে পাহাড়টি তার উপর ভেঙ্গে পড়বে। পক্ষান্তরে একজন বদকার ব্যক্তি সে তার গুনাহকে মনে করে তার নাকের উপর একটি মাছি বসে আছে হাত নাড়া দিল আর সে চলে গেল”।[13]
إن العبد ليحرم الزرق بالذنب يصيبه “বান্দা গুনাহের লিপ্ত হওয়ার কারণে রিযিক হতে বঞ্চিত হয়”।[11]
من تاب إلى الله قبل أن يغرغر قبل الله منه “যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট তাওবা করবে গরগরা উঠার পূর্বে, আল্লাহ তার তাওবা কবুল করবেন”।[9]
কারণ, হাদীসে বর্ণিত রাসূল সা. বলেন, من تاب قبل أن تطلع الشمس من مغربها تاب الله عليه “যে ব্যক্তি পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উঠার পূর্বে তাওবা করবে, আল্লাহ তা’আলা তার তাওবা কবুল করবেন”।[10]
))ِنَّمَا الدُّنْيَا لأَرَْبَعَةِ نَفَرٍ عَبْدٌ رَزَقَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ مَالاً وَعِلْمًا فَهُوَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ وَيَصِلَ فِيهِ رَحِمَهُ وَيَعْلَمَ للهِ عَزَّ وَجَلَّ فِيهِ حَقًّا، قَالَ: فَهَذَا بِأفْضَلِ الْمَنَازِلِ، وَعَبْدٌ رَزَقَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ عِلْمًا وَلَمْ يَرْزُقْهُ مَالاً، قَالَ: فَهُوَ صَادِقُ النِّيَّة، يَقُوْلُ: لَوْ أَنَّ لِي مَالاً لَعَمِلْتُ بِعَمَلِ فُلاَنٍ، فَهُوَ بِنِيَّتِهِ، فَأَجْرُهُمَا سَوَاءٌ، وَعَبْدٌ رَزَقَهُ اللهُ مَالاً وَلَمْ يَرْزُقْهُ عِلْماً يَخْبِطُ فِي مَالِهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَلاَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ، وَلاَ يَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ، وَلاَ يَعْلَمُ لِلّهِ فِيهِ حَقّاً، فَهَذَا بِأَخْبَثِ الْمَنَازِلِ، وَعَبْدٌ لَمْ يَرْزُقْهُ اللهُ مَالاً وَلاَ عِلْماً فَهُوَ يَقُوْلُ: لَوْ أَنَّ لِي مَالاً لَعَمِلْتُ فِيهِ بِعَمَلِ فُلاَنٍ، فَهُوَ بِنِيَّتِهِ، فَوِزْرُهُمَا سَوَاءٌ(( رواه أحمد والترمزي وصححه.وانظر صحيح الترغيب والترغيب.
“দুনিয়া চার প্রকার লোকের জন্য;
[১] সেই বান্দার জন্য যাকে আল্লাহ মাল ও জ্ঞান দান করেছেন সুতরাং সে এতে তার প্রভূকে ভয় করছে, তার আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক রাখছে এবং তার ব্যাপারে আল্লাহর হক কি তা জানছে, এ হল সর্বোত্তম অবস্থানে।
[২] সেই বান্দা যাকে আল্লাহ জ্ঞান দান করেছেন কিন্তু মাল দেননি, সে হল সঠিক নিয়তের লোক, সে বলে, যদি আমার টাকা পয়সা থাকতো তাহলে উমুক ব্যাক্তির মত কাজ করতাম। সে তার নিয়ত অনুযায়ী সওয়াব পাবে। এদের দুজনের নেকী সমান হবে।
[৩] আর সেই বান্দা যাকে আল্লাহ টাকা পয়সা দিয়েছেন কিন্তু জ্ঞান দান করেননি। সে না জেনেই তার টাকা পয়সা খরচ করছে। এতে সে আল্লাহকে ভয় করে না, আত্মীয়তা রক্ষা করে না এবং এতে আল্লাহর হকও সে জানে না। সে হল সর্ব নিকৃষ্ট অবস্থানে।
[৪] আর সেই বান্দা যাকে আল্লাহ মালও দেননি জ্ঞানও দেননি, সে বলে আমার টাকা পয়সা থাকলে উমুকের মতই [খারাপ কাজ] করতাম। সে তার নিয়ত অনুযায়ী প্রতিদান পাবে। এরা দুজনই গুনাহর দিক থেকে সমান।[7]
التوبة الندامة “অনুতপ্ত হওয়াই হল তাওবা
يا أيها الناس توبوا إلى الله فإني أتوب في اليوم مائة مرة رواه مسلم
“হে মানব! তোমরা আল্লাহর দরাবরে তাওবা কর। আমি দৈনিক আল্লাহর নিকট একশত বার তাওবা করি”।[5] আল্লাহ আমাদের বেশি বেশি করে তাওবা করার তাওফীক দান করুন।
"إذا تاب العبد توبة نصوحا، أحبه الله فستر عليه " فقلت: وكيف يستر عليه؟ قال: " ينسى ملكيه ما كانا يكتبان عليه، ويوحى إلى جوارحه وإلى بقاع الأرض أن اكتمي عليه ذنوبه، فيلقى الله ـ عز وجل ـ حين يلقاه وليس شيء يشهد عليه بشيء من الذنوب ".
“যখন কোন বান্দা আল্লাহর কাছে খালেস তাওবা-তাওবায়ে নাছুহা- করে, আল্লাহ তা’আলা তাকে মহব্বত করেন এবং তার যাবতীয় গুনাহ গোপন করে রাখেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কীভাবে গোপন করে রাখেন? তিনি বললেন, উভয় ফেরেশতা তার বিরুদ্ধে যা লিপিবদ্ধ করত, তারা তা লিখতে ভূলে যায় এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের প্রতি ও জমীনের -ভূ-খণ্ডের-প্রতি নির্দেশ দেন- তোমরা তার গুনাহগুলো গোপন রাখ! তখন তারা গুনাহগুলো গোপন রাখে। ফলে যে দিন সে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে, তখন তার কোন গুনাহ থাকবে না- যা তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে।
http://preachingauthenticislaminbangla.blogspot.com/2014/02/blog-post_23.html